www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হত্যার রাজনীতিতে ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগ (১) ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ব্যবসায়ীদের হামলায় মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমান নিহত হয়, (২) ১৯ জানুয়ারি সিলেটে ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে কাজী হাবিবুর রহমান নামে একজন ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়, (৩) ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে কামাল গেটে ছাত্রলীগের রয়েল গ্রুপ ও আনিস গ্রুপের দলীয় কোন্দলে গুলীতে ব্যবসায়ী আব্দুল জাহেদ খুন হয়, (৪) ২১ মার্চ নোয়াখালীর মাইজদিতে ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রদলের ফজলে রাব্বি রাজু, ছাত্রলীগ কর্মী ওয়াসিম ও রাজু আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলে রাব্বি রাজু ও (৫) ওয়াসিম ২২ মার্চ ভোর রাত তিনটায় মারা যায় এবং (৬) ছাত্রলীগ কর্মী রাজু ২৩ মার্চ মারা যায়, (৭) ২৯ মার্চ চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে নাজিম আহমেদ সোহেল নামে একজন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়, (৮) ১৭ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে কারামতিয়া বাজারে নূর মোহাম্মদ সবুজ নামে এক চা দোকানীকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ এপ্রিল সবুজ মারা হয়, (৯) ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কমলদহ বাজারে এক সংঘর্ষে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র মমতাজ উদ্দিন টিপু আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল মমতাজ উদ্দিন টিপু আহত হয়, (১০) ২৮ এপ্রিল গাজীপুরের জয়দেবপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজান আহত হয়ে ৩০ এপ্রিল মারা যায়, (১১) ২৭ মে বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করীম রেজা আহত হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় ২৮ মে রাত আটটায় মারা যায়। (১২) ২৭ জুন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পশ্চিম সাহেরখালী গ্রামে দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতা নাঈমুলদের বাড়িতে হামলা করে প্রতিপক্ষ। এ সময় ব্যাপক ভাংচুর এবং নাঈমুলকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং ২৮ জুন নাঈমুল ইসলাম মারা যায়, (১৩) ১০ জুলাই সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় ছাত্রলীগের হাতে খুন হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী আব্দুল্লাহ্ অন্তর।
(১৪) ১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যু উপলক্ষে শোক দিবসের প্রাক্কালে অতি প্রত্যুষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জলনের পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সবুজ গ্রুপ ও আলিফ-রেজা গ্রুপের সংঘর্ষে খালিদ সাইফুল্লাহ্ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়, (১৫) ১৩ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে সাইক পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ছাত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী আফসানা ফেরদৌসকে হত্যা করে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিনসহ তার সহযোগীরা। ময়না তদন্তে আত্ম হত্যার কথা বলা হলেও প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আফসানার পরিবার ও ছাত্র ইউনিয়ন ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও তার সহযোগীদের দায়ী করে, (১৬) ১৭ আগস্ট সিলেটে জিন্দাবাজারে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা ছাত্রলীগ স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি সোলেমান চৌধূরীর হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মামুন, (১৭) ২০ আগস্ট সিলেটে দক্ষিন সুরমায় লালবাজারে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের নেতৃত্বে সাইফুলসহ ১০-১৫ জনের হামলায় ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন নিহত হয়, (১৮) ৪ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হেমনগর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষে কবির হোসেন নামে ছাত্রলীগ ইউনিয়ন শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে, (১৯) ৮ অক্টোবর নারায়নগঞ্জে ব্যবসায়ী রিপনকে হত্যা করে ছাত্রলীগ বন্দর থানা সভাপতি পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান, নাজমুল, আমজাদ, মোমেন ও হুমায়ুনসহ ২-৩ জন। মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। যাওয়ার সময় রিপন তার স্ত্রীকে এ কথা বলে যায়, (২০) ৯ অক্টোবর বগুড়া শহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উজ্জল মারা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের অবরোধ চলাকালে তিনি আহত হন এবং (২১) ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধূরী টেন্ডারবাজী নিয়ে দলীয় কোন্দলে খুন হয়েছে বলে পরিবার দাবী করে। টেন্ডার নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর দিয়াজের বাসায় একবার হামলা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপুর সাথে দিয়াজের এই টেন্ডার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল এবং ২৮ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে চারবার সংঘর্ষ হয়।
যুবলীগ (১) ১০ ফেব্রুয়রি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় যুবলীগ কর্মী মাহবুবের হাতে দোকান কর্মচারী শাহজাহান নিহত হয়, (২) ২০ ফেরুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রাতঃবাজারে মালিগাঁও ও বেপারীপাড়া গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী কিরন মিয়া আহত হয় এবং পরে মারা গেলে নিহতের ছেলে হান্নান মিয়া উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান ও যুব লীগ সাধারণ সম্পাদক শের আলম মিয়াসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে, (৩) ১৫ মার্চ সিলেট শহরের রায়নগরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিপ্লব রায় বিপুলের ভাতিজীকে উত্যক্ত করার বিচার চাওয়ায় অর্থমন্ত্রীর এপিএস জাভেদ সিরাজের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা জামসেদ সিরাজ, তার অনুসারী সুমন দাস, কবির আহমেদ, রুবেল দাস ও জুবেল মিয়া তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে, (৪) ২২ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দলীয় কোন্দলে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন নয়ন আহত হয়ে ২৩ মার্চ মারা যায়, (৫) ১১ জুন বরিশালের বাকেরগঞ্জে ফরিদপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের সদস্য মহিউদ্দিন হাওলাদারকে কুপিয়ে খুন করে যুবলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার মামুন, তার সহযোগী বশির খান এবং ছগির গাজী। এ সময় তারা তার পায়ের রগ ককেটে দেয়, (৬) ১৪ জুন রাজশাহীর বাগমারায় হামিরখৎনা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি স্বর্ণ ব্যাসায়ী আলতাফ হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুব লীগ সভাপতি রেজা আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, (৭) ২৭ জুলাই নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মাসুদ নামে এক কর্মী নিহত হয়েছে, (৮) ৩০ জুলাই নোয়াখালী সদরে গরিপুর গ্রামে মটর সাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে আব্দুল আজিজ জিমেল ও তার পিতা আফসার উদ্দিনকে গুলী করে মারাত্মক আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল আজিজ জিমেল মারা যায়। উল্লেখ্য যুবলীগ-ছাত্রলীগ ১৮ জুলাই তাদের উপর হামলা করে, (৯) ৪ আগস্ট নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চৌধূরীর হাটে যুবলীগের সমর্থক আবু সুফিয়ানকে গুলী করে ও কুপিয়ে হত্যা করে অপর নেতা আজাদ এবং তার অনুসারীরা। উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা আজাদ ২০১৩ সালে চায়না প্রবাসী ও যুবলীগ নেতা ফারুককে হত্যা করে। সেই হত্যা মামলায় আজাদ ৩ আগস্ট জামিনে মুক্ত হয়ে আবু সুফিয়ানকে হত্যা করে, (১০) ৮ আগস্ট নেত্রকোনার পূর্বধলায় হোগলা গ্রামের দলীয় কোন্দলে হোগলা ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান তুলা খুন হয়, (১১) ৩১ আগস্ট খুলনায় মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলে যুবলীগের হাতে ছাত্রলীগ নেতা রোহান খুন হয়, (১২) ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলে দলীয় কোন্দলে দক্ষিন যুবলীগ ১০নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রিজভী হাসান বাবু আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ সেপ্টেম্বর এ্যাপলো হাসাপাতালে মারা যায়, (১৩) ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির রাজাপুরে সাতুরিয়া গ্রামের  বকুলতলা এলাকায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালাম খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে নিহতের ছেলে শামসুল ইসলাম মুরাদ সাতুরিয়া যুবলীগ নেতা শাহ অলম ও ইউপি সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান বাচ্চুকে অভিযুক্ত করে মামলা করে, (১৪) ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন আলকরণ এলাকায় যুবলীগের সাথে কোন্দলে ও সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইব্রাহিম মানিক খুন হয়। ঘটনায় রানা নামে একজন যুবলীগ নেতাকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় এবং (১৫)  ২৮ ডিসেম্বর ফেনী সদরের মমতাজ মিয়ারহাটে মহাদেব পূজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দলীয় কোন্দলে রুবেল গ্রুপের হাতে খুন হয়েছে যুবলীগ নেতা সোহেল।
শ্রমিক লীগ (১) ৯ মার্চ নাটোরে পূর্ব শত্রুতা ও দলীয় কোন্দলে গুলীবিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রয়ারি মাসুদ রানা প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়। মাসুদের ছোট ভাই রনি অভিযোগ করেন এই মামলার আসামী আফজাল, রফিকুল, সুমন ও রতন আওয়ামী লীগের এক নেতার ঘনিষ্ট লোক।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ (১) ২৩ জুলাই পাবনা শহরে কেন্দ্রীয় বাস টামির্নাল এলাকায় দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা পৌর দোহারপাড়া মহল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রচার সম্পাদক আমিন উদ্দিন খুন হয়, (২) ১৭ অক্টোবর নারায়নগঞ্জের পাগলায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজী ও ডিস ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরু বাহিনীর সন্ত্রাসী শাকিলের হাতে জনতা লীগ নেতা শেখ স্বধীন হোসেন মনির আহত হয়ে ১৮ অক্টোবর মারা যায় (৩) ১ নভেম্বর দিনাজপুর সদরে তৈয়বা মজুমদার ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্যাতনে মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহতের পরিবার দাবী করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিরাজুস সালেকিন রানার নেতৃত্বে তরিকুল ইসলামসহ পাঁচ-ছয় জন তাকে তুলে নিয়ে ২৫ অক্টৈাবর আহত করে। এ সময় তারা প্লাস দিয়ে তার নখ তুলে ফেলে, ব্লেড দিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে কেটে লবন ও কাচা মরিচ লাগায় এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৮৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মোহাম্মদ ০৭/০১/২০১৭
    সত্য বলার সাহস সবার হয়না।আপনাকে ধন্যবাদ তথ্যপূর্ণ লিখার জন্য।
 
Quantcast