লিপির কাকুতি
লিপির কাকুতি
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
হে কবি একটু দয়া করো আমায়
আমি যে রাতের প্রহরী গো।
ঘুমিয়েছে ওরা নিঃশব্দ নিবিড় পৃথিবীর -
কালো গভীরের স্রোতে,
অদৃশ্য লুকানো ঝিঝির-
নেশা সুরে মেতে,
ওরাও ঘুমিয়ে যাবে একটু পরে-
ঐ পূবের আকাশে লালি-
ডাকিলে তেভোরে।
সারারাত জেগে তোমার-
কলমের মুখে,
ওরা জাগিলে সবাই-
ওদের চোখে চোখে থেকে,
আমি ক্লান্ত অবিশ্রান্ত জীবন।
আমায় শঙ্খের মুখে ধ্বনি-
ঐ অরুন উদিত ভোর শিশিরের ঝরা-
গভীর নিশিতে দুঃখজল,
কত চোখে ফেলে-
আবার নীলাম্বরে তুলে,
তুমি শশির স্নিগ্ধ মমতা ঢেলে-
ফুটন্ত নীহারিকায় শোকান্ত চাহুনিতে,
সজীব ডাকিলে তুমি ঘুমন্ত সেই-
ঢের ব্যথিত হৃদয়ে শোক,
হৃদয় অনল।
হে কবি সুরের মোহনা লয়ে-
ছন্দ বিন্যাসে আমায়-
তাঁরই তরঙ্গে বেঁধে দিলে মল।
যেথা কদম কামিনী ঘেরা-
পদ্ম ঝিলেতে পরা-
যেন বৃষ্টির টাপুর টুপুর মধু মূর্ছনায়,
নৃত্যে ময়ূরী মজে-
ঐ ফুটন্ত শিমুলের তল।
হে কবি,
নেই কি তোমার-
ভাবনার কোনো সীমা,
সময়ের নেই কোনো ক্ষান্ত?
তোমার দুচোখে জড়িয়ে ওরা-
আমি যে দেখেছি ধরা-
ঝিমানিতে নুয়ে পরা,
কি যেন নেশার ঘাতে-
দল বেঁধে হত মেলা ক্লান্ত।
তুমি কি বিষন্ন এক ভ্রান্ত পথিকের -
অনাবিল বিবেকের সেবক?
যেন মেঘের করাল গ্রাসে-
ঐ সূর্যের সরল হাসি-
সেই বেগতিক বাতাসের ঝড় তুলে,
এই পৃথিবীর বুকে যে রাখে অম্লান?
সেথা আমিই করিবো তোমায় দাঁড়,
এই নিখিলের পরে তুমিই সেই ঝড়-
ধরা মানুষের তরে।
ওগো আমার নেই কোনো দুঃখ-
আর কোনো অভিমান,
তোমার জীবনে আমি রবো প্রতিদান।
ধন্য আমি আজ ধন্য হে কবি-
তোমারই সৃজনে পেলাম-
আমরন ছবি,
বেঁচে থাকো শতকাল সৃষ্টির তরে-
সেই জনম জনম ধরে-
তোমারই সমাধি পরে-
ঝরা অশ্রু গড়ানো বুকে,
স্মৃতি ফুটন্ত দুঃখে-
সব হৃদয় মমতা ঢেলে-
আমি স্মরণ করিবো তোমায়-
আর চরণের ধূলি।
জড়ানো লতার তলে-
ধরে আলতো লইবো কোলে,
সেতো যতনে মাখিবো বদন।
সেথা নই আমি একা-
পাবে শত দেখা-
শত হাত ফুলে ফুলে আমি যেন গান।
তোমারই রচনা ধরা-
দেখো মুখে মুখে ভরা-
ওরা মমতার বর্ষণে এইটুকু দর্শনে,
তোমায় অন্তর বিগলিত মাল্য করিবে দান।
আব্দুল কাদির মিয়া
=============
হে কবি একটু দয়া করো আমায়
আমি যে রাতের প্রহরী গো।
ঘুমিয়েছে ওরা নিঃশব্দ নিবিড় পৃথিবীর -
কালো গভীরের স্রোতে,
অদৃশ্য লুকানো ঝিঝির-
নেশা সুরে মেতে,
ওরাও ঘুমিয়ে যাবে একটু পরে-
ঐ পূবের আকাশে লালি-
ডাকিলে তেভোরে।
সারারাত জেগে তোমার-
কলমের মুখে,
ওরা জাগিলে সবাই-
ওদের চোখে চোখে থেকে,
আমি ক্লান্ত অবিশ্রান্ত জীবন।
আমায় শঙ্খের মুখে ধ্বনি-
ঐ অরুন উদিত ভোর শিশিরের ঝরা-
গভীর নিশিতে দুঃখজল,
কত চোখে ফেলে-
আবার নীলাম্বরে তুলে,
তুমি শশির স্নিগ্ধ মমতা ঢেলে-
ফুটন্ত নীহারিকায় শোকান্ত চাহুনিতে,
সজীব ডাকিলে তুমি ঘুমন্ত সেই-
ঢের ব্যথিত হৃদয়ে শোক,
হৃদয় অনল।
হে কবি সুরের মোহনা লয়ে-
ছন্দ বিন্যাসে আমায়-
তাঁরই তরঙ্গে বেঁধে দিলে মল।
যেথা কদম কামিনী ঘেরা-
পদ্ম ঝিলেতে পরা-
যেন বৃষ্টির টাপুর টুপুর মধু মূর্ছনায়,
নৃত্যে ময়ূরী মজে-
ঐ ফুটন্ত শিমুলের তল।
হে কবি,
নেই কি তোমার-
ভাবনার কোনো সীমা,
সময়ের নেই কোনো ক্ষান্ত?
তোমার দুচোখে জড়িয়ে ওরা-
আমি যে দেখেছি ধরা-
ঝিমানিতে নুয়ে পরা,
কি যেন নেশার ঘাতে-
দল বেঁধে হত মেলা ক্লান্ত।
তুমি কি বিষন্ন এক ভ্রান্ত পথিকের -
অনাবিল বিবেকের সেবক?
যেন মেঘের করাল গ্রাসে-
ঐ সূর্যের সরল হাসি-
সেই বেগতিক বাতাসের ঝড় তুলে,
এই পৃথিবীর বুকে যে রাখে অম্লান?
সেথা আমিই করিবো তোমায় দাঁড়,
এই নিখিলের পরে তুমিই সেই ঝড়-
ধরা মানুষের তরে।
ওগো আমার নেই কোনো দুঃখ-
আর কোনো অভিমান,
তোমার জীবনে আমি রবো প্রতিদান।
ধন্য আমি আজ ধন্য হে কবি-
তোমারই সৃজনে পেলাম-
আমরন ছবি,
বেঁচে থাকো শতকাল সৃষ্টির তরে-
সেই জনম জনম ধরে-
তোমারই সমাধি পরে-
ঝরা অশ্রু গড়ানো বুকে,
স্মৃতি ফুটন্ত দুঃখে-
সব হৃদয় মমতা ঢেলে-
আমি স্মরণ করিবো তোমায়-
আর চরণের ধূলি।
জড়ানো লতার তলে-
ধরে আলতো লইবো কোলে,
সেতো যতনে মাখিবো বদন।
সেথা নই আমি একা-
পাবে শত দেখা-
শত হাত ফুলে ফুলে আমি যেন গান।
তোমারই রচনা ধরা-
দেখো মুখে মুখে ভরা-
ওরা মমতার বর্ষণে এইটুকু দর্শনে,
তোমায় অন্তর বিগলিত মাল্য করিবে দান।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ২৩/০৯/২০২১ভালো ।
-
মাহতাব বাঙ্গালী ২৩/০৯/২০২১সত্যিই অপূর্ব লিখেছেন প্রিয়কবি সতত
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৩/০৯/২০২১সুন্দর উপলব্ধির ব্যক্ততা।
-
আনাস খান ২২/০৯/২০২১অসাধারণ লিখেছেন
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২২/০৯/২০২১চমকপ্রদ লেখা আর কি!
-
ফয়জুল মহী ২২/০৯/২০২১Excellent writen