www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হার্টবিট

ছাএ হিসাবে হয়ত খুব একটা ভালো ছিলাম না , তবে সায়েন্সের প্রতি একটু বেশি আর্কষণ ছিল। তাই মাধ্যমিক পাশ করে সায়েন্স নিয়ে পড়ব ভেবেছিলাম , তবে রেজাল্ট টা বেরোনোর পর পছন্দের স্কুলে চান্স না পাওয়ায় ইচ্ছেটা মনের মধ্যেই রয়ে গেল। এই অবস্থায় জেদের ঘোরে কমার্স নিয়ে ফেললাম। যাকে নিয়ে কখনও ভাবিনি, জেদের বশীভূত হয়ে সেটা নেওয়ার পর আর পরিবর্তন করতে মন চায়নি। শুধু মনে হয়েছিল যা হয়ে গেছে তা পাল্টানো যাবে না। তাই, সেই নিয়েই এগিয়ে গেলাম কেরিয়ারের দিকে। এমনকি ক্লাস ইলেভেনের প্রথম ভালোবাসার পিছনে একটু ঘুরেই ক্লান্ত হয়ে সেই হিসাবনিকাশের পিছনেই দৌড়ালাম। সেই প্রথম দেখা মুখটা এখনও যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, কিন্তু ওসব পাত্তা না দিয়ে সামনে এগিয়ে চলাই হয়ে উঠেছিল তখন একমাত্র উদ্দেশ্য -ভালো নাম্বার নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ। অবশ্য পাশও করে গেলাম। মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে দেখা হত তার সাথে, কিন্তু হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু হত না। শুধু কিছু সিদ্ধান্ত যেন সবটাই পালটে দিল।

আপ বর্ধমান লোকালের মধ্যবর্তী একটা কামরায় জানলার ধারে বসে সাধারণত এই সবই ভেবে থাকে বছর চব্বিশ এর যুবক অনিমেষ। পেশায় সে হিসাবনিকাশের কাজ করে। প্রতিদিনের আয়, ব্যয়, লাভ, খতি হিসাব করতে করতে তার জীবন টাই যেন ডেবিট আর ক্রেডিট এর মধ্যবর্তী পর্যায়ে রয়ে গেছে। তাই একটু ফাঁক পেলেই সে তার জীবনের লাল মলাটে বাঁধা খাতার পাতা গুলো উলটে পালটে দেখে।

'অনি! এ, অনি, তাড়াতাড়ি উঠে আয়, বর্ধমান ঢুকছে, না হলে গেটে ভিড় হয়ে যাবে। '-পাশ থেকে সুশোভন চেঁচিয়ে ওঠে।

অনিমেষ বন্ধুর ডাকেতে যেন আবার সেই খাতা বন্ধ করে নিজের মধ্যে ফিরে আসে। সে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ,কিন্তু গেটটাতে অনেকেই ভিড় করেছে। তাই সে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে পড়ে আর এদিক ওদিক তাকিয়ে শুধু মানুষের ভিড় কে উপভোগ করে। এই উপভোগের মধ্যেই ওই ভিড়ে একটা মুখ তার চোখে পড়ে, আর সাথে সাথেই তার হার্টবিট টা যেন সপ্তমে চড়ে।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৫২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০১/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast